নির্বাচনি আচরণবিধি নিয়ে ইসিকে প্রশ্ন শিশির মনিরের
- আপলোড সময় : ২০-১১-২০২৫ ০৪:২১:৪১ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ২০-১১-২০২৫ ০৪:২১:৪১ অপরাহ্ন
সম্প্রতি জারি হওয়ার নির্বাচনি আচরণ বিধির নানা অসঙ্গতি তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ছবক দিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নেতা ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির। গতকাল বুধবার নির্বাচন ভবনে ইসি আয়োজিত সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ ছবক দেন। তিনি বলেন, আচরণবিধির ৭-এর ‘ক’ উপধারায় ‘‘কোনো প্রকার পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না” উল্লেখ থাকার পরও ৭-এর ‘ঘ’ উপধারায় পোস্টারসহ অন্যান্য প্রচারসামগ্রী ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করায় বিষয়টি রয়েছে। আগে বলছেন পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না। আবার পোস্টার সরাতে পারবে না, এ কথা বলছেন কেন? শাস্তি আরোপের এখতিয়ার নিয়ে এ আইনজীবী বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য ছয় মাসের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান থাকলেও, কে এই শাস্তি আরোপ করবেন (হু উইল ইম্পোজ দা পানিশমেন্ট), সে বিষয়ে আচরণবিধিতে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই। তিনি বলেন, আচরণবিধিতে বলতে হতো কোর্টটা কে নির্ধারণ করবে? আপনার এ বিধান পড়ে মনে হয় না যে, আপনি যে শাস্তিটা আরোপ করতে চাচ্ছেন, কে শাস্তি আরোপ করবে- এ মর্মে আচরণবিধিতে থাকা উচিত ছিল। এছাড়া, কোনো প্রার্থীর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তির অপরাধের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে শাস্তির আওতায় আনার বিধান নিয়েও অসঙ্গতি রয়েছে। শিশির মনির বলেন, নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগ (আচরণবিধির ২৬) দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করতে হবে। ৃআমি কমপ্লেন দিয়ে বসে থাকব, আপনারা ডিসপোজ করবেন না, আমার আর কিছু করার থাকবে না। সুতরাং এত ঘণ্টার মধ্যে এত সময়ের ভেতরে ডিসপোজ করবেন এটা সুনির্দিষ্ট থাকতে হবে। তিনি শত শত অভিযোগ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সময়সীমা নির্ধারণ করা জরুরি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে সংলাপে অন্য নির্বাচন কমিশনার, ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন দলের নেতারা অংশ নেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
স্টাফ রিপোর্টার